Header Ads

বার্থ সার্টিফিকেট সংশোধন বা ইংরেজীতে করুন

 

বার্থ সার্টিফিকেট সংশোধন বা ইংরেজীতে করুন

বার্থ সার্টিফিকেট সংশোধন অথবা ইংরেজীতে করার নিয়মগুলির জন্য আপনাকে সরকারি নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। বার্থ সার্টিফিকেট সংশোধন করতে আপনাকে স্থানীয় নিবন্ধন অফিস বা ইউনিয়ন অফিস, পৌরসভা অথবা সিটি কর্পোরেশন অফিসে যেতে হবে এবং নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। অথবা যে কোন অভিজ্ঞ কোম্পিউটার কম্পোজ দোকানে গিয়ে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন অথবা ইংরেজীতে করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

অনলাইন আবেদন ফরমে আপনার সংশধনী তথ্য দিয়ে পূরণ করবেন এবং সেই অবেদন ফরমটি প্রিন্ট করে ইউনিয়ন অফিস, পৌরসভা অথবা সিটি কর্পোরেশন অফিসে জমা দিবেন। এছাড়া আপনার এলাকার কাউন্সিলর বা চেয়ারম্যন থেকে সংশোধনীর প্রত্যায়পত্র সংগ্রহ করে উক্ত আবেদন পত্রে সংযুক্ত করে জমা দিবেন। তারপর ডিসি অফিসের ক্লিয়ারেন্সের পর নতুন করে ইংরেজী এবং বাংলায় জন্ম নিবন্ধন পেয়ে যাবেন।

তবে বিশেষ ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত ধাপ গুলি অনুসরণ করা হতে পারে।

ধাপ ১ঃ আবেদনপত্র পূরণ
প্রথমে আপনাকে জন্ম নিবন্ধন অফিস থেকে সংশোধিত জন্ম নিবন্ধনের আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এই ফরম পূরণ করে আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, সংশোধিত তথ্য এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি যেমন জন্ম সনদ, এনআইডি কার্ড, কাউন্সিলর বা চেয়ারম্যন কর্তৃক প্রত্যায়নপত্র এবং বিশেষ ক্ষেত্রে শিক্ষাগত সনদ ইত্যাদি সহ নিবন্ধন অফিসে জমা দিতে হবে।

ধাপ ২ঃ তথ্য যাচাই এবং সংশোধনী প্রদান
আপনার জমা দেওয়া সংশোধনী আবেদনটি অফিসের কর্মকর্তাদের দ্বারা যাচাই করা হবে। তারা আপনার সংশোধনী প্রদান করা তথ্য এবং কাগজপত্রাদিও যাচাই করবেন। যদি আপনার সংশোধনী আবেদন সঠিক হয় তবে তাদের দ্বারা আপনার সংশোধনী সংযোজন করা হবে এবং আপনি একটি রিসিট পাবেন তা দিয়ে পরবর্তী নির্ধারিত তারিখে আপনার সংশোধিত জন্ম সনদ তোলতে পারবেন।

ধাপ ৩ঃ নতুন জন্ম সনদ প্রদান
পরবর্তী নির্ধারিত তারিখে আপনার সংশোধিত জন্ম সনদটি প্রদান করা হবে। এই সনদ আপনার পূর্ণ নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্ম তারিখ, সংশোধিত তথ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য থাকবে।

উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করলে আপনি আপনার বার্থ সার্টিফিকেট সংশোধনী অথবা ইংরেজীতে করতে পারবেন। তবে নির্দিস্ট কোন এলাকার জন্য ভিন্ন আইন এবং নিয়মাবলী থাকতে পারে। তাই বাংলাদেশের জন্ম নিবন্ধন সংশোধন বা ইংরেজীতে করার জন্য স্থানীয় সরকারি নির্ধারিত নিয়ম ও পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। সে নিয়ম ও পদ্ধতি আপনার জন্ম নিবন্ধন অফিসে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন।

বার্থ সার্টিফিকেট বাংলাদেশে কি কি কাজে লাগে

বাংলাদেশে বার্থ সার্টিফিকেট (Birth Certificate) একটি মুখ্য দলিল এবং আইডিয়ান্টিটি প্রমাণ পত্র। এটি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সনদের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি দলিল হিসাবে ব্যবহার করা হয়। নিম্নলিখিত কাজে বাংলাদেশে জন্মসনদ লাগতে পারে:

১. জন্ম রেজিস্ট্রেশন:

শিশুর জন্ম হওয়ার পর জন্মসনদের জন্য জন্ম রেজিস্ট্রেশন করা প্রয়োজন। এই রেজিস্ট্রেশন শিশুর জন্ম স্থানের নিকটবর্তী জন্ম রেজিস্ট্রার অফিসে বা ইউনিয়ন অফিস, পৌরসভা অথবা সিটি কর্পোরেশন অফিসে স্বাস্থ সহকারী অথবা স্যানিটারী ইন্সফেক্টরের মাধ্যমে করে নিতে হয়। জন্ম রেজিস্ট্রেশন না থাকলে, শিশুর জন্মের প্রমাণপত্র দেওয়া হয়, শিশুর জন্ম হওয়ার প্রমাণ পত্র দেয় যেখানে সন্তান জন্ম হয় যেমন হাসপাতাল, ক্লিনিক, নার্সিং হোম ইত্যাদি, অথবা বাড়িতে জন্মের পর স্বাস্থ্য কর্মীর দেওয়া টিকা আইডি কার্ড ইত্যাদি।

২. স্কুল, কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য:

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র/ছাত্রীর ভর্তির জন্য জন্মসনদ দাখিলের সময় প্রয়োজনীয় হয়।

৩. পাসপোর্ট প্রকাশে:

পাসপোর্ট প্রকাশের জন্য জন্মসনদ ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র এর সাথে সাবমিট করতে হয়।

৪. ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য:

ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সময় জন্মসনদ প্রমাণপত্র প্রয়োজন।

৫. ভোটার আইডি কার্ড:

নাগরিক আইডি (ন্যাশনাল আইডি কার্ড) পেতে জন্মসনদ প্রমাণপত্র দেওয়া প্রয়োজন।

৬. বৈবাহিক প্রমাণ:

বিবাহ প্রমাণ সনদের জন্য প্রত্যায়িকভাবে জন্মসনদের প্রয়োজনীয় হতে পারে।

৭. চাকরী:

যে কোন চাকরী ক্ষেত্রে এনআইডি এর পরিবর্তে জন্মসনদের প্রয়োজনীয় হয়।

উপরে উল্লিখিত কাজে এবং আরও অনেক স্থানে বাংলাদেশে জন্মসনদ একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এই সনদ দেশের বিভিন্ন অফিস এবং ইন্সটিটিউশনে ব্যক্তির সঠিক তথ্য ও পরিচয় প্রমাণে মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

নতুন জন্ম নিবন্ধন সহজে অনলাইনে আবেদন

প্রবাসীদের জন্ম নিবন্ধন করার পদ্ধতি

কোন মন্তব্য নেই

graphixel থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.